Showing posts with label শিহ্মা. Show all posts
Showing posts with label শিহ্মা. Show all posts

Sunday, March 4, 2018

হাতের লেখা সুন্দর করার উপায়।

হাতের লেখা ‘সুন্দর’ বা ভালো করা মোটেও কোন কঠিন কাজ নয়। হাতের লেখা ‘সুন্দর’ করতে মূলতঃ যে তিনটি বিষয় প্রয়োজন সেগুলো হলো:


১.‘সুন্দর’ করে লেখার বিষয়ে নিজের আগ্রহ বা ইচ্ছে থাকা,
২. হাতের লেখা ‘সুন্দর’ করার সঠিক ও সহজ কৌশল বা উপায় জানা, ও
৩. নিয়মিত হাতের লেখার চর্চা করা।
হাতের লেখার মাধ্যমে বোঝা যায়, মানুষের মনোযোগ, স্থিরতা ও চিন্তা করার ক্ষমতা। ‘সুন্দর’ হাতের লেখার প্রশংসা সবাই করে। আর হাতের লেখা ‘সুন্দর’ হলে পরীক্ষায়ও ভালো নম্বর পাওয়া যায়।
নীচের পরামর্শগুলো অনুসরণ করলে হাতের লেখা অবশ্যই ‘সুন্দর’ হবে।


± প্রতিটি অক্ষর বা বর্ণ স্পস্ট হতে হবে, যাতে আলাদা-আলাদা ভাবে বোঝা যায় যে, ঠিক কোন অক্ষর লেখা হয়েছে। বাংলা লেখার ক্ষেত্রে, মাত্রার সঠিক ব্যবহার করতে হবে। ইংরেজির ক্ষেত্রে ‘ক্যপিটাল’ ও ‘স্মল’ লেটার সঠিকভাবে লিখতে হবে।
± লেখার স্টাইল বা ধরণ (যেমন, সোজা/খাড়া বা বাঁকা/কাত) যে রকমই হোক না কেন, অক্ষরগুলোর আকার ও আকৃতি একই রকম হতে হবে। অক্ষর ছোট-বড় বা মোটা-চিকন করা যাবে না।
±এমন কিছু অক্ষর আছে যেগুলো সঠিকভাবে লিখতে পারলে অন্য অনেক অক্ষরও ভালোভাবে লেখা যায়। যেমন, ‘ব’ সুন্দর করে লিখতে পারলে আরো লেখা যায় ‘ক’ ‘র’ ‘ধ’ ‘ঝ’ বা ‘ঋ’। আবার কিছু অক্ষর-এর অংশ বিশেষ ব্যবহার করা যায় অন্য অক্ষর-এর মধ্যে।
± শব্দ লেখার ক্ষত্রে, অক্ষরগুলোর মধ্যে কম কিন্তু সমান দূরত্ব রাখতে হবে। প্রতিটি শব্দের মধ্যে কমপক্ষে একটি অক্ষরের পরিমাণ দূরত্ব থাকতে হবে।
± অবশ্যই লাইন সোজা হতে হবে। লাইন সোজা করতে শুরুতে দাগ টানা খাতায় লেখা চর্চা করা যেতে পারে।
± লেখার কগজের বামে, ডানে, উপরে ও নীচে সঠিক মার্জিন রাখতে হবে। প্রয়োজনে, ভাঁজ করা অথবা দাগ টেনে নেওয়া যেতে পারে।
± কোনো শব্দ বা লাইন ভুল হলে তা এক দাগে কেটে দিতে হবে। বেশী কাটাকাটি করা যাবে না।
± দাঁড়ি, কমা, সেমিকোলন, ‘আ’কার-‘ই’কার ইত্যাদি ছোট ছোট অংশের প্রতি নজর দিতে হবে। বিন্দু বা গোল চিহ্ন-গুলো সঠিকভাবে গোল করতে হবে।   

 সংগৃহীত
Read More

Tuesday, February 6, 2018

আপনার জীবন পালটে দিবে এই বানী গুলো



এশিয়ানবার্তা : মৃত্যু একটি সুনিশ্চিত এবং নির্ধারিত বিষয়। কোনো কিছুর জন্ম অনিশ্চিত হলেও জন্মের পর তাঁর মৃত্যু সুনিশ্চিত। মানুষ এ কথা জানা সত্ত্বেও মৃত্যুর ব্যাপারে গাফেল হয়ে আছে। একজন মুসলিমের প্রধান কাজ হলো মৃত্যুর কথা বেশি বেশি স্মরণ করা। কারণ মৃত্যুর স্মরণই মানুষকে সব সময় ভালো কাজের প্রতি পরিচালিত করে।
কিন্তু মানুষের মৃত্যু কখন হবে এ ব্যাপারে মানুষের কোনো ধারণা নেই। তাইমানুষের জন্য করণীয় হলো সব সময় মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকা। আর মৃত্যু আসার আগে পরকালের পাথেয় সংগ্রহে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ৫টি উপদেশ মেনে চলা জরুরি।
আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, পাঁচটি জিনিসকে পাঁচটি জিনিসের পূর্বে মূল্যবান মনে কর। আর তাহলো-
> মৃত্যুর আগে তোমার (দুনিয়ার) জীবনকে মূল্যবান মনে কর;
> অসুস্থ্য হওয়ার আগে সুস্থতাকে মূল্যবান মনে কর;
> ব্যস্ত হয়ে যাওয়ার আগে অবসরকে মূল্যবান মনে কর;
> বৃদ্ধ হওয়ার আগে যৌবনের সময়কে মূল্যবান মনে কর;
> অভাব বা দারিদ্র্যতার আগে স্বচ্ছলতা বা প্রাচুর্যকে মূল্যবান মনে কর। (মুসনাদে আহমদ)
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ বিখ্যাত হাদিস মানুষের জীবন চলার গতিকেই পরিবর্তন করে দেয়। পথহারা মানুষ পায় সঠিক পথের দিশা। এ হাদিসের আলোকেই মানুষ কবরের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করবে বেশি।
কারণ এ পাঁচটি অবস্থা মানুষের জীবনকালের সঙ্গে সম্পর্কিত। যারা পরকালের চিন্তাভাবনা করে তখন তারা এ বিষয়গুলো চিন্তা করে পরকালীন জীবনের জন্য পাথেয় সংগ্রহে গভীরভাবে আত্মনিয়োগ করে।
মনে রাখতে হবে-
কোনো মানুষই মৃত্যুর পর দুনিয়ায় তার রেখে যাওয়া কোনো সম্পদই নিয়ে যেতে পারবে না। শুধু তা-ই নয়, মানুষের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর আমল করার সুযোগেরও পরিসমাপ্তি ঘটে। তাই মৃত্যুর আগে হায়াতে জিন্দেগিকে মূল্যবান মনে করার প্রতি তাগিদ দিয়েছেন প্রিয়নবি।
ইবাদত বন্দেগির জন্য মানুষের সুস্থতা প্রয়োজন। এ কারণে হাদিসে পাকে সুস্থতাকে মূল্যবান মনে করার ব্যাপারে তাগিদ দেয়া হয়েছে। যাতে মানুষ সুস্থ অবস্থায় কুরআন-সুন্নাহর বিধান মোতাবেক জীবন পরিচালনা করতে পারে।
মানুষ যখন কর্ম ব্যস্ততা থেকে অবসর হয়, তখনই আল্লাহর ইবাদত বন্দেগিতে নিজেকে নিয়োজিত করা উচিত। যদিও আল্লাহর নামে করা প্রতিটি কাজ এবং ব্যস্ততাও ইবাদতে শামিল। তথাপিও আল্লাহ তাআলা কর্তৃক কিছু ফরজ কাজ রয়েছে; যেগুলো যথা সময়ে আদায় করতে হয়। যেমন- নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি বিধানাবলী।
নামাজের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যস্ততা না থাকলে তা যথা সময়ে আদায় করে নেয়া। এভাবে রোজার জন্য সেহরি গ্রহণে অলসতা না করে যথা সময়ে তা গ্রহণ করা। এভাবে প্রতিটি কাজই ব্যস্ততার আগে অবসরকে মূল্যবান মনে করার ব্যাপারে বিশেষ তাগিদ দিয়েছেন প্রিয়নবি।
মানুষের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে যৌবন কালে। সে সময় মানুষ বিভিন্ন কারণে বিপথগামী হয়। এ কারণে আল্লাহ তাআলার কাছে যৌবন কালের গুরুত্ব বার্ধক্যের তুলনায় অনেক বেশি।
অর্থ সম্পদ বা প্রাচুর্যকে দুনিয়ার সব অনর্থের মূল বলা হয়ে থাকে। তথাপিও ইসলামে সম্পদ বা স্বচ্ছলতার গুরুত্ব অনেক বেশি। মানসিক প্রশান্তির জন্য স্বচ্ছলতা অনেক বেশি প্রয়োজন।
স্বচ্ছল ব্যক্তি সম্পদহারা হয়ে গেলে অনেক অন্যায় কাজে ধাবিত হয়। চারিত্রিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ কারণে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অস্বচ্ছলতা আসার আগে স্বচ্ছলতাকে মূল্যবান মনে করতে তাগিদ দিয়েছেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহ উল্লেখিত হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন।।।
Read More